ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৪০০ জনকে আসামী করে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া ::::
চকরিয়ার বদরখালীতে ব্যবসায়ি হত্যার জেরে সন্দেহভাজন হিসেবে ধৃত মহিলাসহ দুইজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামী করা হয়েছে প্রায় ৪০০ জনকে। অজ্ঞাত হিসেবে আসামী করে এই মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকায় গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ এসল্ট আইনে মামলাটি দায়ের করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুবুর রহমান।
উল্লেখ্য, চিংড়ি প্রকল্পের পরিচালক ও ব্যবসায়িক অংশীদার উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের দুই নম্বর ব্লকের মাতারবাড়ি পাড়ার রফিক আহমদ খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আজবাহার বেগম ও আবদুল আজিজকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে নিহতের স্বজনেরা। তাদের শুক্রবার সন্ধ্যায় বদরখালী থেকে থানায় নিয়ে আসার সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল বশরের ইন্ধনে কিছু উচ্ছৃক্সক্ষল লোক পুলিশের কাছ থেকে ধৃত দুইজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় হামলায় আহত হয় চার পুলিশ সদস্য।
আহতরা হলেন বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ইসমাঈল (৩৫) ও জয়নাল আবেদীন (৩০) এবং কনষ্টেবল আবদুল মতিন ও মিরাজ উদ্দিন (৩২)।
মামলার বাদী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, রফিক আহমদ খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা দুইজনকে থানায় নিয়ে আসার সময় তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে বদরখালী নৌ-পুলিশের চার সদস্য আহত হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল আজম জানান, হামলায় আহত চার পুলিশ সদস্যের মধ্যে কনষ্টেবল আবদুল মতিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে প্রায় ৪০০ জনকে। ঘটনার পর পরই জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ব্যবসায়ির অংশীদার রফিক আহমদ হত্যার ঘটনায় ধৃত দুই সন্দেহভাজন আজবাহার ও আবদুল আজিজ বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তবে এখনো (গতকাল রাত ৮টা) পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। আজকের মধ্যে অভিযোগ না পেলে ধৃতদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’

পাঠকের মতামত: